গর্ভপাত ঘটাতে পারে ৭টি খাবার,তাই এড়িয়ে চলুন!

গর্ভপাত ঘটাতে পারে ৭টি খাবার,তাই এড়িয়ে চলুন!

প্রত্যেক নারীর জন্য আনন্দময় একটি ব্যাপার হল গর্ভধারণ। কিন্তু এই সময় আনন্দের পাশাপাশি একটু বেশী সর্তক থাকতে হয় প্রত্যেক নারীকে।

প্রত্যেকটি নারীকে গর্ভাবস্থায় শারীরিক কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। ছোট একটি ভুল বা অসর্তকতা এই সমস্যাকে করে তুলতে পারে অনেক বড়, ঘটে যেতে পারে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
গর্ভপাত ঘটাতে পারে ৭টি খাবার,তাই এড়িয়ে চলুন!
PDF ফাইল DOWNLOAD (ক্লিক করুন)।
 

নারীকে এই সময় অনেক পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় । অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আবার কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এমন কিছু খাবার নিয়ে এই আয়োজন যা গর্ভবতী মহিলাদের এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

১। পেঁপেঃ

পেঁপে, বিশেষ করে কাঁচা পেঁপে গর্ভপাতের জন্য দায়ী অন্যতম একটি খাবার হিসেবে গন্য করা হয়। কাঁচা পেঁপেতে ল্যাকট্রিক্স নামক একটি উপাদান আছে যা গর্ভপাতের মত দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

২। আনারসঃ

আনারসের রস অনেক সময়ে ডেলিভারি প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে থাকা উপাদান গর্ভপাত ঘটাতে পারে। গর্ভকালীন পুরো সময়টি আনারস না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩। ধনেপাতাঃ

ধনেপাতা অনেকের বেশ পছন্দ। কিন্তু গর্ভকালীন সময় এই খাবারটি এড়িয়ে চলুন। এমনকি ধনেপাতার জুস গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এটি পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে পেট ফাঁপা ভাব সৃষ্টি করে।

৪। কলিজাঃ 

কলিজা খাবারটি পুষ্টিকর এবং মজাদার একটি খাবার। কিন্তু এই কলিজা গর্ভপাত ঘটাতে পারে যদি সেটি কোনো অসুস্থ প্রাণীর হয়ে থাকে। তাই কলিজা খাওয়ার সময়ে কিছুটা সচেতন থাকা উচিত।

৫। তিলঃ

গর্ভকালীন সময়ে তিল বা তিল জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। বিশেষ করে তিল মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। এটি স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময় তিল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৬। অ্যালোভেরাঃ

অ্যালোভেরা জেল নারীর রুপচর্চার অন্যতম একটি উপাদান। এটি ত্বক, চুল, হজমের জন্য বেশ উপকারি। গর্ভকালীন সময় অ্যালোভেরার জুস খাওয়া উচিত নয়। বেশি ভালো হয় এই সময়টি সকল ধরনের অ্যালোভেরা দিয়ে তৈরি পানীয় বা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

৭। অংকুরিত আলুঃ

অংকুরিত আলু শুধু গর্ভকালীন নারীদের জন্য নয় সকলের জন্য এটি ক্ষতিকর। আলু যখন অংকুরিত হয় তখন সেটিতে নানান বিষাক্ত পর্দাথ দেখা দেয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবুজ অংকুরে সোলানিন নামক উপাদান রয়েছে যা ভ্রূণ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

• Tweet
• Share
• Share
• Share
• Share