Friday, April 14, 2017

কনডম ছাড়া যৌন মিলন করলেও সন্তান হবে না! জানতে চান ?



কনডম ছাড়া যৌন মিলন করলেও সন্তান হবে না! জানতে চান ?




ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে৷ জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকলেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কনডমের উপরই ভরসা করেন৷ যদি নিয়ম ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না

মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র প্রাকৃতীকভাবে নির্ধারিত। এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলা হয় এই দিনগুলিতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না এই দিবসগুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না। এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতি গতভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো জেনে নিতে হবে।


 এ পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা৷ হলে তা কত দিন অন্তর হয়৷ সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে৷ পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন৷ আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন ৷


রে নিন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে (২৮-১৮)=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিনগুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র
তাই (৩০-১০)=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস। ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাঁধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ তম থেকে ২০ তম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাঁধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে

উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম দিন আর মাসিক শুরুর আগের দিন অবাঁধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে  ভালো অনিয়মিত  ভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে পদ্ধতি কার্যকর নয়

এছাড়া প্রাকৃতীক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া

আবার কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এতে সাফল্য নাও পেতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবসে দুই দিন বাড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন একে অনেকে প্রোগ্রামড সেক্স বলে অনেকেই বিষয়ে সংশয় পোষণ করেন, কিন্তু একবার এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটি অনেক বেশি সহজ আরামদায়ক  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে

0 comments: