শরীর
ও
মন
কে সুস্থ্য রাখতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই জেনে নিন! কম ঘুমাবেন নাকি
বেশী ঘুমাবেন ?
আমাদের জীবনের এক তৃতীয়াংশ কেটে যায় ঘুমে। কিন্তু ঘুম নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার শেষ নেই।অনেকে মনে করেন ঘুমানো মানে সময় নষ্ট। সেই সময়টা বরং একটু কাজ করে নিলে জীবনে অনেক উন্নতি করা যায়। এমন ভাবনা শুধু ভয়ংকর নয়, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকরও বটে। কারণ শরীর এবং মস্তিষ্ক তখনই ঠিক মতো কাজ করতে পারে, যখন পর্যাপ্ত রেস্ট পায়। আর তা না হলেই একে একে নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করবে।
কিন্তু আজকের
দুনিয়ায় সবাই
এত
ব্যস্ত
যে
ঘুমানের সময়ই
নেই।
পরিসংখ্যান বলছে
গত
কয়েক
বছরে
সারা
বিশ্বেই অনিদ্রায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা
লাফিয়ে
লাফিয়ে
বেড়েছে। সেই
সঙ্গে
বেড়েছে ডায়াবেটিস, স্মৃতিশক্তি কমে
যাওয়া
সহ
একাধিক
রোগের
প্রকোপ। কারণ
যেমনটা
আগেও
বলেছি
শরীর
যদি
ঠিক
মতো
আরাম
না
পায়,
তাহলে
এক
একে
নানা
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক মতো কাজ
করা
বন্ধ
করে
দেয়,
ফলে
দেখা
দেয়
নানা
রোগ।
তাই তো
চিকিৎসকরা বলে
থাকেন
ঘুম
হলো
মানুষের জন্য
সব
থেকে
সুন্দর
উপহার।
এই
উপহারকে যারা
ঠিকমতো কদর
করেন,
তাদের
শরীর,
মন
এবং
মস্তিষ্ক এতটাই
চাঙা
থাকে
যেকোনো রোগই
এদের
ছুঁতে
পারে
না।
সুতরাং
বলা
যায়
না
ঘুমালে
উন্নতি
সম্ভব
নয়,
বরং
ঠিকমতো ঘুমালেই জীবন
সুন্দর
ও
সফল
হয়ে
ওঠে।
সমস্যা
হলো, একই পরিমাণ ঘুম
কারও জন্য যথেষ্ট আবার
কারণ জন্য কম। কেউ
কেউ অল্প কয়েক ঘন্টার
ঘুমেই দিব্যি সুস্থ থাকেন, কিন্তু এ ঘটনা বেশ
বিরল। আবার কেউ কেউ
এর পুরো বিপরীতপ্রসঙ্গত, দিনে
কম
করে
৬-৮ ঘণ্টা না
ঘুমালে
শরীরের
রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা
কমে
যাওয়ার
পাশাপাশি ওজনও
বাড়তে
শুরু
করে।
আর
অতিরিক্ত ওজনের
করণে
কী
কী
রোগ
হতে
পারে,
তা
নিশ্চয়
কারও
অজানা
নেই।
ঠিকমতো ঘুমলে
শরীর
যেমন
চাঙ্গা
হয়ে
ওঠে,
তেমনি
কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি
পায়।
সেই
সঙ্গে
মস্তিষ্কের ক্ষমতা
বৃদ্ধি
পাওয়ার
কারণে
সিদ্ধান্ত নেওয়ার
ক্ষমতাও বেড়ে
যায়।
শুধু
তাই
নয়,
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে
শরীরে
নানাবিধ হরমোনের ক্ষরণ
ঠিক
মতো
হয়,
পেশির
ক্ষত
সেরে
যায়
এবং
অবশ্যই
নানা
রোগে
আক্রান্ত হওয়ার
আশঙ্কা
কমে।
তাহলে
এখন
প্রশ্ন,
কী
কী
নিয়ম
মানলে
ঘুম
ঠিক
মতো
হবে?
চলুন
জেনে
নেওয়া
যাক
সে
সম্পর্কে।
১. ঘুমকে ভালোবাসতে শিখুন t-
ঘুম
হলো
খুব
স্পেশাল একটা
উপহার,
তাই
একে
ভালোবাসতে শিখুন।
দেখবেন
আনন্দে
জীবন
কেটে
যাবে।
২. আগে থেকে ভেবে রাখুন t-
অনেক
সময়
কাজের
টেনশানে ঘুম
আসতে
চায়
না।
তাই
বড়
কোনো
কাজ
শুরু
করার
আগে
কীভাবে
তা
করবেন
তার
একটা
প্ল্যান ছোকে
নিন।
এমনটা
করবেন
তো
মানসিক
চাপ
অনেকটাই কমবে,
সেই
সঙ্গে
ঘুমের
ব্যাঘাত হওয়ার
আশঙ্কাও কমবে।
প্রসঙ্গত যাদের রাতে অফিস যেতে হয়, তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এক কথায় ঘুমটা জরুরি, কখন ঘুমাচ্ছেন তা নয়।
প্রসঙ্গত যাদের রাতে অফিস যেতে হয়, তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এক কথায় ঘুমটা জরুরি, কখন ঘুমাচ্ছেন তা নয়।
৩. অফিস টাইমে মাঝে মাঝে বাইরে বের হন t-
দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসের মধ্যে থাকাটা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল না। তাই কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে একটু বাইরে ঘুরে আসবেন। একটু হাওয়া-বাতাস গায়ে লাগলে দেখবেন শরীর চাঙা হয়ে উঠবে। আর একাধিক গবেষণাতেও এমনটা দেখা গেছে যে কাজের ফাঁকে একটু সূর্যালোক গায়ে লাগলে ঘুম ভালো হয়।
দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসের মধ্যে থাকাটা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল না। তাই কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে একটু বাইরে ঘুরে আসবেন। একটু হাওয়া-বাতাস গায়ে লাগলে দেখবেন শরীর চাঙা হয়ে উঠবে। আর একাধিক গবেষণাতেও এমনটা দেখা গেছে যে কাজের ফাঁকে একটু সূর্যালোক গায়ে লাগলে ঘুম ভালো হয়।
৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু বই পড়ার অভ্যাস করুন t-
৫. ঘুমের আগে কফি খাবেন না t-
এমনটা
করলে
দেখবেন
ঘুম
আসতে
কোনও
অসুবিধাই হবে
না।
কারণ
কফিতে
থাকে
ক্যাফেইন, যা
ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটায়।
প্রসঙ্গত, শুতে
যওয়ার
বেশ
কিছু
সময়
আগে
যদি
কফি
খান,
তাতে
কোনো
অসুবিধা নেই।
কারণ
সে
ক্ষেত্রে শরীর
সময়
পায়
ক্যাফেইন বের
করে
দেওয়ার।
৬. শুতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার চলবে না t-
ঘুমাতে যাওয়ার
৯০
মিনিট
আগে
থেকেই
মোবাইলের ব্যবহার থামাতে
হবে।
এমনটা
করবেন
তো
দেখবেন
ঘুম
আসতে
কোনও
সমস্যাই হবে
না।
আসলে
এমনটা
করলে
শরীরে
মেলাটোনিন এবং
কর্টিজল হরমোনের মাত্রা
স্বাভাবিক হয়,
আর
এই
দুটি
হরমোন
যত
স্বাভাবিক মাত্রায় থাকবে,
তত
ঘুম
সুন্দরভাবে হবে।
৭) প্রত্যেকের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আলাদা t-
যত
গবেষণাই হোক
না
কেন,
সবার
ঘুমের
প্রয়োজনীয়তা এক
নয়,
ব্যক্তিবিশেষে তারতম্য থাকবেই। কিছুদিন নিজের
শরীরের
অনুভূতি অনুযায়ী ঘুমিয়ে
দেখুন।
যখন
ক্লান্তি লাগে
তখন
ঘুমাতে
যান,
প্রাকৃতিকভাবে ঘুম
ভেঙ্গে
উঠুন।
এ
সময়ে
এড়িয়ে
চলুন
ক্যাফেইন এবং
ধূমপান। দিনের
বেলায়
কিছুটা
রৌদ্র
গায়ে
লাগান,
আর
ব্যায়ামও করুন
পরিমিত। দেখবেন
শরীর
নিজস্ব
নিয়মে
একটা
ঘুমের
রুটিনে
পড়ে
গেছে।
এ
রুটিন
অনুযায়ী ঘুমালে
কোনো
সমস্যা
হবার
কথা
নয়।
তবে
এর
পরেও
সমস্যা
হতে
থাকলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
0 comments: