যে খাবারগুলি
অ্যাসিড সমস্যার
মুক্তিতে সাহায্য করে---
এমন অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে একবার চোখ রাখতেই হবে এই লেখায়---
সব
সময়ই
কেমন
যেন
পেট
গুড়গুড়,
সেই
সঙ্গে
বুক
জ্বালা
করতেই
থাকে।
এদিকে
অ্যান্টাসিড খেয়ে
খেয়ে
পকেট
ফাঁকা
হয়ে
যাচ্ছে,
কিন্তু
রোগ
কমার
নামই
নেয়
না।
কেন হয় গ্যাস-অম্বলের সমস্যা?
নানা
কারণে
এমনটা
হতে
পারে।
তবে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক
মতো
খাবার
না
খেলে
অথবা
ঠিক
সময়ে
খাবার
না
খেলে
এই
রোগ
শরীরে
বাসা
বাঁধে।
সেই
কারণেই
তো
আজকাল
কম
বয়সীদের এই
রোগ
বেশি
হয়।
তারা
যখন
খুশি
খাবার
খান,
আর
প্লেটে
কোনো
পুষ্টিকর খাবার
থাকে
না।
তার
জায়গায়
থাকে
কোনো
না
কোনো
জাঙ্ক
ফুড।
একে
তো
দীর্ঘক্ষণ খালি
পেট,
তার
উপর
ভাজা
খাবার।
কেন
গ্যাস-অম্বল হবে না
বলুন!
প্রসঙ্গত, অ্যাসিড রিফ্লাক্স গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ
হতে
পারে।
তাই
এমনটা
দীর্ঘদিন ধরে
হলে
একেবারেই হালকা
ভাবে
নেবেন
না।
যত
শিগগির
সম্ভব
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
ওষুধ
খাওয়া
শুরু
করবেন।
না
হলে
কিন্তু
শরীরের
অবস্থা
আরও
খারাপ
হতে
শুরু
করবে।
কারণ
ঠিক
সময়ে
গ্যাস্ট্রাইটিসের চিকিৎসা করা
না
হলে
ধীরে
ধীরে
ক্রনিক
অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ
অথবা
গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল ডিজিজে
আক্রান্ত হওয়ার
আশঙ্কা
বহুগুণে বেড়ে
যায়।
গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত হলে
পেট
গুড়গুড়,
তলপেটে
ব্যথা,
প্রদাহ
এবং
পেটের
মধ্যে
অস্বস্তির মতো
লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে
পারে।
প্রসঙ্গত, অনেক
কারণে
এই
রোগ
হতে
পারে।
যেমন-
অপুষ্টিকর খাবার
বেশি
খেলে,
শুধু
ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার
খেলে,
প্রেগন্যান্সি, হজমের
রোগ
প্রভৃতি। তাহলে
এখন
প্রশ্ন
হল,
কী
ধরনের
খাবার
খেলে
একেবারে কমে
যাবে
এই
রোগ?
চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কেঃ
১. দইঃ
এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক কনটেন্ট, যা পাকস্থলির বহিরাংশে ভাল ব্যাকটেরিয়াদের দিয়ে একটা পাঁচিল তৈরি করে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের আর কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক কনটেন্ট, যা পাকস্থলির বহিরাংশে ভাল ব্যাকটেরিয়াদের দিয়ে একটা পাঁচিল তৈরি করে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের আর কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
২. কলাঃ
পাকস্থলিকে ঠান্ডা করতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হতে দেয় না। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হওয়ার আশঙ্কা কমে।
পাকস্থলিকে ঠান্ডা করতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হতে দেয় না। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩.আদাঃ
এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা অ্যাসিডের কর্মক্ষতা কমিয়ে দিয়ে রোগের প্রকোপ একেবারে কমিয়ে দেয়। তাছাড়া শরীর ভাল রাখতে আদা নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিন এটি খেলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হতে শুরু করে।
৪. ওটমিলঃ
এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পাকস্থলির চারদিকে একটি আবরণ তৈরি করে দেয়। ফলে অ্যাসিডের কোনো প্রভাবই পড়ে না পাকস্থলিতে। ফলে কমে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ।
৫. চুইংগামঃ
একেবারে ঠিক শুনেছেন। চুইংগামও কিন্তু অম্বলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন কাজে আসে। আসলে যখনই আমরা চুইংগাম খাই, আমাদের মুখগহ্বরে স্যালাইভার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে অ্যাসিডের প্রকোপ কমতে শুরু করে। কারণ স্যালাইভা অ্যাসিডের কার্যকারিতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
একেবারে ঠিক শুনেছেন। চুইংগামও কিন্তু অম্বলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন কাজে আসে। আসলে যখনই আমরা চুইংগাম খাই, আমাদের মুখগহ্বরে স্যালাইভার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে অ্যাসিডের প্রকোপ কমতে শুরু করে। কারণ স্যালাইভা অ্যাসিডের কার্যকারিতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. খরমুজঃ
পাকস্থলি যাতে প্রয়োজনের বেশি হজমে সহায়ক অ্যাসিড তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে এই ফলটি। ফলে গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
পাকস্থলি যাতে প্রয়োজনের বেশি হজমে সহায়ক অ্যাসিড তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে এই ফলটি। ফলে গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৭. সবুজ শাক-সবজিঃ
নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান তো থাকেই, সেই সঙ্গে সবুজ শাক-সবজিতে থাকে অ্যালকালাইন প্রপার্টিজ, যা অ্যাসিডের প্রকোপকে কমায়। ফলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার কোনও সুযোগই পায় না।
0 comments: